ঢাকা,বুধবার, ১ মে ২০২৪

১০২ আত্মসমর্পনকারী মধ্যে সাবেক সংসদ বদির ভাইসহ ২১ শীর্ষ ইয়াবা কারবারি জামিনে মুক্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজারে টেকনাফে আত্মস্বীকৃত ও আত্মসমর্পণকারী ১০২ জনের মধ্যে ২১ শীর্ষ ইয়াবা কারবারী জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল প্রদত্ত ২১ জন ইয়াবা কারবারীর মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর বদি’র এক পরিবারের আট জন । ভাই আবদুর শুক্কুর ও আমিনুর রহমান প্রকাশ আবদুল আমিন। এই মামলার এজাহারের ১ ও ২ নম্বর আসামীও মুক্ত। কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন প্রাপ্ত অন্যান্যরা হলো-মোঃ শাহেদ রহমান নিপু, ফয়সাল রহমান, মারুফ বিন খলিল প্রকাশ বাবু, রেজাউল করিম মেম্বার, মোঃ হাবিবুর রহমান প্রকাশ নুর হাবিব, শামসুল আলম প্রকাশ শামসু মেম্বার, মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ আলম, মোঃ জুহুর আলম, বোরহান উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, শফিকুল ইসলাম, কামরুল হাসান রাসেল, মং অং থেইন প্রকাশ মমচি, শামসুল আলম শামূম,নুরুল বশর কাউন্সিলর প্রকাশ নওশাদ,হোছাইন আহমদ, মোহাম্মদ আয়ুব। এছাড়া হাইকোর্ট থেকে আগে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরছে, তারা হলো-নুরুল হুদা মেম্বার, নুরুল কবির, মোহাম্মদ ইউনুস, মাহবুব আলম ও মঞ্জুর আলী। এ নিয়ে আত্মসমর্পণকৃত মোট ২৬ জন আসামী জামিনে এলাকায় ফিরে এসেছে।কারাগারে থাকা একই মামলায় আরো ৪৭ জন আসামী সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলো। জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল মামলার পরবর্তী ধার্য্য দিন আগামী ২২ নভেম্বর এই জামিন আবেদন সমুহ শুনানীর জন্য রেখেছেন।বিগত ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের শীর্ষ ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০টি অস্ত্র ও ৭০ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে শর্তসাপেক্ষ আত্মসমর্পণ করেছিলো।১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী । এর মধ্যে একজন কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা যায়। বাকি ১০১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযুক্তপত্র দাখিল করে পুলিশ।টেকনাফ মডেল থানার ওসি(অপারেশন) খোরশেদ আলম বলেন,জামিনে মুক্ত হওয়া ইয়াবা ব্যবসায়ীদেরকে কুটুর নজরদারিতে রাখা হবে। কারণ ফিরে এসে যাতে পুনরায় আবারো কোন মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততা হয় কিনা খোঁজখবর রাখা হবে। ভুলেও যদি তারা আবারো মাদক এর সাথে জড়িয়ে পড়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও জামিন বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হবে।

পাঠকের মতামত: